খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে কুয়েট প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) এতথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়টের জনসংযোগ দপ্তরের মুখপাত্র রবিউল ইসলাম সোহাগ।
রবিউল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘সাময়িক বহিষ্কৃত কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৪৪ জন শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার মনোনীত ছাত্রকে সম্প্রতি লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার নিযুক্ত করার জন্য হলের প্রভোস্ট ড. সেলিমকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর সেজান ৪০-৪২ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে আবারও ড. সেলিমকে চাপ প্রয়োগ এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে বাসায় গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে ড. সেলিমের মৃত্যু হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ করে।
ওই ঘটনায় কুয়েট কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে দাফনের ১৪ দিন পর অথ্যাৎ ১৫ ডিসেম্বর অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে ১৬ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে পুনরায় তাকে দাফন করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।